তথ্যানুসন্ধান রিপোর্ট: (প্রকাশের তারিখ: 16-Apr-2025)
ঢাাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পে এলএ কেসের মাধ্যমে অধিগ্রহণ কার্যক্রমে নারায়ণগঞ্জ ডিসি অফিসের কানুনগো এবিএম হাবিব উল্লাহ, সার্ভেয়ার মো. মামুন হোসেন, মো. এবং সড়ক জনপথের সার্ভেয়ার দেওয়ান মো. সোহাগের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ৩ জনের নামে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে এই প্রকল্পের দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র। সূত্র জানিয়েছে, এই প্রকল্প শুরু হলে তৎকালীন জেলা প্রশাসকের ছত্রছায়ায় এই চারজনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মৌজায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রশস্তকরণের জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। তার মধ্যে রূপগঞ্জ উপজেলায় ২১/২০২১-২০২২ নং এলএ কেসের মাধ্যমে অধিগ্রহণ কার্যক্রম ২০২১ সালে শুরু করা হয় এবং ২০২২ সালে ৪(১) ধারা নোটিশ মাঠে জারী করা হয়। ৪(১) ধারা নোটিশ জারীর পর ৪ (৭) ধারা মোতাবেক নোটিশ জারীর পর অসৎ উদ্দেশ্যে স্থাপনা নির্মাণ বা শ্রেণি পরিবর্তন বা অন্য কোন পরিবর্তন করা হলে তা যৌথ তদন্তে অন্তর্ভূক্ত না করার নির্দেশনা রয়েছে কিন্তু এ প্রকল্পে ঘুষের বিনিময়ে ৪(১) ধারা নোটিশের পর দীর্ঘ দিন পর পর প্রকল্প সংশোধন করে বাস্তব শ্রেণী পরিবর্তন করতে তারা সহায়তা করেন। অপরদিকে যে টাকা দিয়েছে তাকে বাণিজ্যিক শ্রেণী দেয়া হয়ছে উদাহরণস্বরূপ যেমন বরপা মৌজার ৩৯১ নং দাগে আলামিনের মুদি দোকানকে বাণিজ্যিক কিন্তু সুমি আক্তারের দোকানকে দোকান দেয়া হয়েছে, বরপা মৌজার ৭৭২ নং দাগে মনিরুল আলমের মার্কেটের মতো দোকানকে দোকান দেয়া হয়েছে, বরপা মৌজার ৭৭৩ নং দাগে হাজী মোখলেছুর রহমান ৪(১) ধারা নোটিশের পর ফ্যক্টরী সেড নির্মাণ করার পর ও তা উত্তোলন করেন এবং এই সেড দেখিয়ে দাগে ৩ জনের জমিই বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে, বরপা মৌজার ৭৭৬ নং দাগে ইমাম হোসেনের কোন স্থাপনাই নাই অথচ ইমাম হোসেনের জমিকে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে, বরপা মৌজার ৭৮৪ নং দাগে লোকমান হোসেনের দোকানকে বানিজ্যিক দেখানো হয়েছে, বরপা মৌজার ৭৮৭ নং দাগে হাজী চিনু বেপারীর দোকান সমূহকে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে, বরপা মৌজার ৭৮৯ নং দাগে আবুল হোসেন সাউদ এর দোকান সমূহকে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে, বরপা মৌজার ৭৯০ নং দাগে শাহ আলম, নুরুজ্জামান, আসলাম ভূইয়া, মোরসালিন ভূইয়া এর দোকান সমূহকে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে, খাদুন মৌজায় ৯২ ও ৯৫ নং দাগে সিটি গ্রুপের খালী জমিকে বানিজ্যিক দেখানো হয়েছে অথচ আধুরিয়া মৌজায় রাজ্জাক টেক্সটাইল মিলের ও মাহনা মৌজার ৩১, ৩৩, ৩৮, ৩৯, ১১৯, ১২০,১২১ নং দাগে মেট্রো স্পিনিং মিল ও রাজ্জাক টেক্সটাইল মিল এবং টেক্স মেক্স লিঃ এর খালী জমিকে ভিটি দেখানো হয়েছে, খাদুন মৌজার ৪৩২ নং দাগে মাহাবুব আলম এর দোকানকে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে, আড়িয়াব মৌজার ১০৫ নং দাগে মজিবর ভূইয়ার দোকানের জমিকে বানিজ্যিক দেখানো হয়েছে আবার ১০৬ নং দাগে শাহিন ভূইয়া ও নুরুল হকের দোকানকে দোকান শ্রেনী দেখানো হয়েছে ১০৭ নং দাগে ইমাম হোসেনের দোকানকে দোকান হিসেবে দেখানো হয়েছে, ১৯৫ নং দাগে রিতা রানীর দোকানকে দোকান হিসেবে দেখানো হয়েছে, ১৯৬ নং দাগে লক্ষি রানী ও অভিরাম এর দোকানকে দোকান হিসেবে দেখানে হয়েছে, এখানে এ কারনে দেখানো হলো যে একই শ্রেনীর জমি ১ জন টাকা দিলো আর তার জমি বাণিজ্যিক হলো আরেকজন টাকা দেয়ানি এ জন্য তার জমি দোকান শ্রেণির রয়ে গেল ।
একইভাবে ভুলতা মৌজার ১৬৫৪ নং দাগেও চান মিয়ার জমি ও দোকান হিসেবে দেখানো হয়েছে, ১৬৫৫ নং দাগেও জসিম এর জমিকেও দোকান শ্রেনী হিসেবে দেখানো হয়েছে এবং ১৬৫৯ নং দাগের নুরু মিয়ার জমিকে ও দোকান হিসেবে দেখানো হয়েছে, আধুরিয়া মৌজার ৮০১ নং দাগে হামিদা বেগমের কোন স্থাপনা থাকার পরেও হামিদা বেগমের দখল বিহীন জমিকে সুকৌশলে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে, ৮০৫ নং দাগে জামান মোল্লারর দোকানের ভূমিকে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে, ৮২০ নং নাজমুল ও হোসেনুল এর বাণিজ্যিক কোন ঘর না থাকার পরেও তা বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে, ৮২৭, ৮২৮ নং দাগে মফিজুল ইসলাম ও মমতাজ বেগমের কোন স্থাপনা বা ব্যবসা না থাকার পরেও তাদের জমিকে বানিজ্যিক দেখানো হয়েছে, ৮২৯ নং দাগে জহিরুল ইসলামে চা-দোকানকে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে, ৮৩১ নং দাগে মিলন মিয়ার কোন বানিজ্যক কার্যক্রম না থাকার পরেও তার জমি বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে, ৮৩৮, ৮৪২ নং দাগে রাবেয়া আক্তারের দোকানকে বানিজ্যিক দেখানো হয়েছে, ৮৪২ নং দাগে জসিম মোল্লার কোন স্থাপনা না থাকার পরেও তা বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে, ৮৪৩ নং দাগে রাবেয়া আক্তারের কোন স্থাপনা না থাকার পরেও তার জমি বানিজ্যক দেখানো হয়েছে।
মাহনা মৌজার ৮৯ নং দাগে যৌথ তদন্তের ফিল্ডবুক মোতাবেক রুবিনা বেগমের কোন বাণিজ্যিক কার্যক্রম দেখা যায় না এখানে রান্না ঘর ও মুরগীর ঘর রয়েছে দেখা যায় এমনকি কোন ১ টি দোকানও নেই অথচ তা বানিজ্যিক দেখানো হয়েছে, ১০৪ নং দাগে যৌথ তদন্তের ফিল্ডবুক মোতাবেক শাহাব উদ্দিনের কোন বানিজ্যিক কার্যক্রম দেখা যায় না এমনকি কোন ১ টি দোকানও দেখা যায় না অথচ সু কৌশলে বাড়ীকে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে, ১০৯ নং দাগে যৌথ তদন্তের ফিল্ড বুক মোতাবেক আমিনুল ইসলামের কোন বানিজ্যিক কার্যক্রম নেই এমনকি কোন দোকানও নেই অথচ এখানে বাড়ীকে সুকৌশলে বানিজ্যিক দেখানো হয়েছে।
কেশরাব মৌজার ১৩২৮ নং দাগে সুফিয়া বেগমের জমিকে বাড়ী, দোকান ও বানিজ্যিক দেখানো হয়েছে অথচ এখানে আলিফ ষ্টোর নামের একটি দোকান রয়েছে অথচ সুকৌশলে তার জমিকে বানিজ্যিক দেখানো হয়েছে, ১৩৭০ নং দাগে মাসুদা আক্তারের অর্ধেক জমি বানিজ্যিক আর অর্ধেক জমি আবাসিক অথচ সুকৌশলে পুরা জমিকে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে, ১৩৭১ নং দাগে যৌথ তদন্তের ফিল্ড বুক মোতাবেক কোন বানিজ্যিক কার্যক্রম নেই এমনকি ১ টি দোকানও নেই অথচ ফজলুল হক ও আলমাছ মিয়ার জমিকে সুকৌশলে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে, ১৩৭২ নং দাগে যৌথ তদন্তের ফিল্ড বুক মোতাবেক কোন বাণিজ্যিক কার্যক্রম নেই এমনকি ১ টি দোকানও নেই অথচ আহাদ মিয়ার জমিকে সুকৌশলে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে, ১৩৮০ নং দাগে যৌথ তদন্তের ফিল্ড বুক মোতাবেক কোন বানিজ্যিক কার্যক্রম নেই এমনকি ১ টি দোকানও নেই অথচ গোলজার হোসেনের জমিকে সুকৌশলে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে, ১৪১৬ নং দাগে ২ জন মালিক দেখানো হয়েছে অথচ ১ টি আলহেরা ডাইং দিয়ে ২ জনের জমিকেই সু কৌশলে বানিজ্যিক দেখিয়ে দেয়া হয়েছে, ১৪১৬ নং দাগে যৌথ তদন্তের ফিল্ড বুক মোতাবেক কোন বানিজ্যিক কার্যক্রম নেই এমনকি ১ টি দোকানও নেই অথচ ইলিয়াস মিয়া গং এর জমিকে সুকৌশলে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে, ১৪১৭ নং দাগে যৌথ তদন্তের ফিল্ড বুক মোতাবেক কোন বানিজ্যিক কার্যক্রম নেই এমনকি ১ টি দোকানও নেই অথচ সাজ্জাদউজ্জামান এর জমিকে সুকৌশলে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে, ১৪২৪ নং দাগে যৌথ তদন্তের ফিল্ড বুক মোতাবেক কোন বানিজ্যিক কার্যক্রম নেই এমনকি ১ টি দোকানও নেই এমনকি সরেজমিনেও বাড়ী অথচ নাসরিন বেগমের জমিকে সুকৌশলে বানিজ্যিক দেখিয়ে দেয়া হয়েছে, যৌথ তদন্তের ফিল্ড বুক জন সাধারনের এ সকল কু কর্ম করার পর ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা স্থানীয় জনগন যাতে বুঝতে না পারে সেজন্য ৪ (৬) ধারা মোতাবেক গণবিজ্ঞপ্তি আকারে জন্য প্রকাশ করার কথা থাকলেও গণবিজ্ঞপ্তি ১৪/১০/২০২৪ খ্রি. তারিখে স্বাক্ষর হলেও আপত্তি দাখিলের শেষ দিনে যাতে মানুষ আপত্তি দাখিল করতে না পারে সে জন্য ২১/১০/২০২৪ খ্রি. তারিখে তা প্রকাশ করেন অর্থাৎ যা করেছেন অত্যান্ত কৌশলে করছেন।
সূত্র জানায়, আরো বিস্তারিতভাবে বললে, রূপগঞ্জের বরপা মৌজায় ৫৯৪ দাগে বিক্রমপুর ষ্টিল মালিকানাধীন নাল রেকর্ডিয় শ্রেণিকে অধিগ্রহণে বাণিজ্যিক শ্রেণি হিসেবে দেখানো হয়েছে। এতে সরকারের আনুমানিক ৫ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এটি ৪(১) ধারা নোটিশের পর দলিল করার আইনগত সুযোগ না থাকার পরেও বিক্রমপুর ষ্টিল দলিল করেছেন এবং ঘুষের বিনিময়ে যৌথ তদন্তে নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। ৬০২, ৬০৩ দাগে যৌথ তদন্তের ফিল্ড বুকে বাণিজ্যিক স্থাপনা না থাকলেও ভিটি জমিকে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে। এই দুই দাগে সরকারের ক্ষতি ৮০ লাখ টাকা। ৭৭৩ দাগে ফাতেমা আক্তার সহ ৩ জনের প্রত্যেকে জমি বর্তমানে বাড়ি হিসেবে রয়েছে কিন্তু ঘুষের বিনিময়ে বাড়ি শ্রেণিকে বাণিজ্যিক জমি দেখানো হয়েছে। এবং মোখলেসুর রহমানের ফ্যাক্টরী সেড ৪(১) ধারা নোটিশের পরে তোলা হয়েছে এই এক সেড দেখিয়ে তিন জনের জমিকেই বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে। বরপার ৭৭৬ নং দাগে ইমাম হোসেনের মালিকানাধীন জমিতে যৌথ তদন্তের ফিল্ড বুকে কোন বাণিজ্যিক স্থাপনা নেই অথচ ঘুষের বিনিময়ে জমিকে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে। ৭৭৭ দাগে আমিনা বেগমের জমিটিতে যৌথ তদন্তে ৫ তালা বিল্ডিংয়ের নিচে দোকান বলা হয়েছে। কিন্তু পুরো জমি বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে অথচ অন্যান্যদের ক্ষেত্রে দোকান দেখানো হয়েছে এখঅনো পুরো জমি/ ভবন বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে। ৭৮৪ দাগে লোকমান হোসেনের মালিকানাধীন জায়গায় যৌথ তদন্তে ৪টি স্থাপনার মধ্যে ১টি স্থাপনা বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে। বাকিগুলো আবাসিক এমনকি একটি বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে সেটিও দোকান অথচ ঘুষের বিনিময়ে বাণিজ্যিক জমি দেখানো হয়েছে।
খাদুন মৌজায় ৪৩২নং দাগের মাহবুব আল তারুর জায়গায় শুধুমাত্র একটি দোকানকে দোকান না দেখিয়ে পুরো জমিকে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে। আড়িয়াব মৌজায় ১০৫ দাগের মজিবুর ভূইয়া শুধুমাত্র একটি ছোট দোকানকে দোকান ও বাড়ি না দেখিয়ে ঘুষের বিনিময়ে পুরো জমিকে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে। অথচ অন্যান্য দাগে যারা ঘুষের টাকা দেয়নি তাদের জমি দোকান হিসেবে দেখানো হয়েছে এবং যারা টাকা দিয়েছে তাদের দোকান ও বাণিজ্যিক জমি হিসেবে দেখানো হয়েছে।
গোলাকান্দাইল মৌজায় ২০৫নং দাগে সিফাত মিয়াসহ ৩ জনের জমিটি ৪(১) ধারা নোটিশের পর খালি ছিল আইনে বলা আছে। ৪(১) ধারা নোটিশর পর স্থাপনা উত্তোলন করলে তা অন্তর্ভূক্ত করা যাবেনা অথচ ৪(১) ধারা নোটিশ করা হয় ২০২৪ এর শুরুতে। অবৈধ লেনদের মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনা যৌথ তদন্তে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এবং জমি বাণিজ্যিক দেখানো হয়। প্রস্তাবের সাথে ২০২১ সালে ধারণকৃত ভিডিও চিত্র অথবা ২০২২ সালে ৪(১) ধারা নোটিশের পর ধারণকৃত ভিডিও দেখলে এর প্রমাণ পাওয়া যাবে।
কেশরাব মৌজা ১১৬২ দাগের আঃ বারেক মিয়া ও মো. জাকির হোসেনের মালিকানাধিকন জমিটিতে ২০২২ সালে ৪(১) ধারা নোটিশের সময় বাড়ি ছিল পরে এখানে প্রিন্টিং কারখানা করা হয় যা আইন বহির্র্র্ভূত। অপরদিকে জাকির হোসেনের অংশে কোনা বাণিজ্যিক নাই তদুপুরি সুকৌশলে এটিকে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে। ১৩২৮নং দাগের সুফিয়া বেগমের জমিটিতে স্থাপনার কলামে শুধুমাত্র একটি দোকান উল্লেখ রয়েছে অথচ ঘুষের বিনিময়ে দোকান ০.০০২৫ দিয়ে ০.০২ বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে। ১৩৭০ দাগের মাসুদা আক্তারের ৯ শতাংশের জমির মধ্যে অর্ধেক বাড়ি ও অর্ধেক বাণিজ্যিক কিন্তু ঘুষের বিনিময়ে সুকৌশলে পুরো জমি বাণিজ্যিকে দেখানো হয়েছে। ১৩৭১ নং দাগের মো. ফজলুল হক ও আলমাছ মিয়ার জমিতে কোন বাণিজ্যিক ভূমি নেই। দুইজনেই বাড়ি হিসেবে ভোগদখল করেন। স্থাপনার কলামে ও কোন বাণিজ্যিক স্থাপনা উল্লেখ করেননি। অধিগ্রহণের প্রস্তাবের সাথের ভিডিও অথবা ২০২২ সালে ৪(১) ধারা নোটিশের পর ধারণকৃত ভিডিও দেখা যেতে পারে। অথচ সুকৌশলে ঘুষের বিনিময়ে পুরো জমিকে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে। ১৩৭২ নং দাগের অহিদ মিয়া, ইসলাম উদ্দিন, হানিফ মিয়ার জমির মধ্যে শুধুমাত্র ইসলাম উদ্দিনের একটি রংয়ের দোকান ছাড়া এই দাগে কোন বাণিজ্যিক কিছু নেই পুরো জমি আবাসিক কিন্তু সুকৌশলে একজনের রংয়ের দোকান দেখিয়ে পুরো তিনজনের জমিকে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে। ১৩৮০ নং দাগের ইব্রাহিমে জমিটি একটি আবাসিক স্থাপনা ।২০২২ সালের ৪(১) ধারা ধারা নোটিশের পর আইন বহির্ভূতভাবে আবাসিক ঘরে স্থাপনার ৮সং ক্রমিকের মেশিন স্থাপন করেন যা অধিগ্রহণের প্রস্তাবের সাথের ভিডিও চিত্র অথবা ২০২২ সালে ৪(১) ধারা নোটিশ জারির পরে যে ভিডিও চিত্র ধারণ করা হয়েছে তা দেখা যেতে পারে। আবাসিক/বাড়ি ভূমিকে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে। ১৩৮৪ নং দাগে মোতাহের হোসেন ও মামুনগং দুই জনের জমিই বাড়ি হিসেবে রয়েছে। যৌথ তদন্তের ফিল্ড বহিতেও কোন বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কোন স্থাপনা নেই অথচ বাড়ি ভূমিকে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে।
১৪১৬ দাগের রেজাউল করিম, আবু বক্কর ছিদ্দিক, ইলিয়াস মিয়ার জায়গায় আবু বক্কর ছিদ্দিক এর আল হেরা ডাইং রয়েছে কিন্তু রেজাউল করিম ও ইলিয়াস মিয়ার জমি আবাসিক কিন্তু আবু বক্কও ছিদ্দিকের জমির সাথে বাকি দুইজনের জমিও বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে। ১৪১৭নং দাগে সাজ্জামউজ্জামান এর বাড়ি শ্রেণির জমি যা যৌথ তদন্তের স্থাপনা সমূহ দেখলে বুঝা যায় এটিকেও বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছৈ। ১৪২২ দাগের সফিকুল ইসলাম মো.মনছুরার নাল জমিকে ভিটি দেখানো হয়েছে। জমির আইলে গাছ কিন্তু ভিটি জমি হলে জমিতে গাছ থাকার কথা। ১৪২৪ দাগের নাছরিন বেগমের জমি বাড়ি হিসেবে বসবাস করেন কিন্তু এটিকে বাণিজ্যিক হিসেবে দেখানো হয়েছে।
মাহনা মৌজা ৭৬নং দাগের মনির হোসেনের বাড়ি শ্রেণির জমিকে বাণিজ্যিক হিসেবে দেখানো হয়েছে, ৮৯ দাগের রুবিনা গংয়ে বাড়ি শ্রেণির জমিকে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে। ১০৪নং দাগের শাহাবউদ্দিনের, ১০৯ দাগের আমিনুল ইসলাম গংয়ে বাড়ি শ্রেণির জমিকে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে।
আধুরিয়া মৌজার ৮০১নং দাগের হামিদা বেগমের কোন জমি নেই পুরো জমি দোহার ষ্টিল অথচ হামিদা কোন স্থাপনা কিংবা দখল নেই তবু হামিদা বেগমের নাম অন্তর্ভূক্ত করে জমি বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে। ৮০৩ নং দাগের আবদুল আলীর জমিতে কোন ব্রিক ফিল্ডের কোন স্থাপনা নেই এটি নাল জমি কিন্তু সুকৌশলে ব্রিক ফিল্ডের সাথে দেখয়ে নাল জমিকে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে। ৮১৭ নং দাগের বিথি আক্তারের ভিটি জমিকে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে। ৮২০ নং দাগের নাজমুল ইসলাম নং ও হোসেনুল ইসরাম এর জমি ভিটি শ্রেণির, এখানো কোন বাণিজ্যিক স্থাপনা নেই কিন্তু এটিকে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে। ৮২১নং দাগের নাজমুল ইসলামের ভিটি শ্রেণির জমিকে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে। ৮২৭নং দাগের মফিজুল ইসলাম গং, মমতাজ বেগমের ভিটি জমি, ৮২৮নং মৌজা মফিজুল গংয়ে ভিটি শ্রেণির জমি, ৮৩০ নং দাগের জহিরুল ইসলামের বাড়ি শ্রেণির জমি এবং ৮৩১ নং দাগের মিলন মিয়ার ভিটি শ্রেণির জমিকে, ৮৩৬নং দাগের মোস্তফা ভূইয়ার ভিটি শ্রেণির জমিকে বাণিজ্যিক দেখানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার এলএ শাখার কানুনগো এবিএম হাবিব উল্লাহ ও সার্ভেয়ার মামুন হোসেন, সার্ভেয়ার আনোয়ার হোসেন এবং সড়ক জনপথের সার্ভেয়ার দেওয়ান মো. সোহাগ একটি সিন্ডিকেডের মাধ্যমে আনুমানিক প্রায় ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে সরকারের প্রকল্প ব্যায় প্রায় ৪৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বৃদ্ধি করেছেন। এটি একটি কলঙ্কজনক বিষয়। এমতাবস্থায় সরেজমিনে ফিল্ডে দুর্নীতির আলামত নষ্ট হওয়ার আগে তাদের দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ জানানো হয়।