নিজস্ব প্রতিবেদক: (প্রকাশের তারিখ: 15-Feb-2025)
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রশিকা এনজিওর মধ্যে (প্রশিকা )একটি জ্বলজ্বলে নাম। আওয়ামী শাসন আমলের দ্বিতীয় ধাপে প্রশিকার পরিচালক কাজী ফারুকের সঙ্গে মতানৈক্য সৃষ্টি হওয়ায় বাংলাদেশের প্রশিকা অফিসগুলোতে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। এনজিওর রাজ্যে প্রশিক্ষার অবস্থান যেখানেই থাক না কেন ধীরে ধীরে বিলীন হতে শুরু করে। বিশেষ করে ২০১৯ সালের কার্যক্রম অবাক করার মত। আওয়ামী লীগের শাসন আমলে একটি বিশেষ চক্র ধীরে ধীরে প্রশিকার যাবতীয় কার্যক্রমকে গিলে খেতে শুরু করে। অফিস আদালতের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড মেরুদন্ডহীন হয়ে যায় । বাহিরের কুচক্রী মহলের অনিয়ম তান্ত্রিক অবৈধ সূত্রের আবরণে প্রশিকার জ্বলন্ত কার্যক্রম প্রায় নিভে যেতে বসে। ২০১৭-১৮ইং সালের পর থেকে প্রশিকার কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে হাড্ডিসার হয়ে যায়।
২০২৪/২০২৫ সেশনে প্রশিকার পঞ্চাশের অধিক মিটিং ও কেন্দ্রীয় আলোচনার মাধ্যমে ২০২৫ইং এর ফেব্রুয়ারী মাসের গোড়ার দিক থেকে পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়।২০২৫ এর ফেব্রুয়ারী মাসের মাঝামাঝি " প্রশিকা উলিপুর " অফিস সংস্কার ও অফিস কার্যক্রম শুরু হয়।
২০২৫ ইং সনের ফেব্রুয়ারী মাসের ১৫ তারিখ প্রশিকা অফিস উলিপুর তদন্তে গেলে উপদেষ্টা সদস্য মোঃ শাহীন আলম চিশতী বলেন, কেন্দ্রীয় অফিস প্রশিকার আদেশক্রমে আমি উলিপুর অফিসের সংস্কার কাজ করছি। আমাদের উলিপুর প্রশিকা অফিস পুনরায় জীবন্ত হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ যাদের হাতে উলিপুর প্রশিকার এভিডেন্স থাকবে তারা এই অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
১৬ ফেব্রুয়ারী থেকে আমাদের অফিস ম্যানেজার সমস্ত ডেবিট ক্রেডিট বই এক জায়গায় করে অফিসের হিসাব-নিকাশ কষে পুনরায় অফিস চালু করবে বলে আমাদের প্রতিবেদক কে জানিয়েছেন।
উলিপুর অফিসে টাঙ্গাইল অফিসের মোঃ ইয়াকুব আলী সাহেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তার সঙ্গে উপদেষ্টার শাহিন আলম চিশতির পুনরায় কার্যক্রম শুরুর ব্যাপারে অনেক কথাবার্তা হয় বলেও তিনি জানান। ইয়াকুব আলী টাঙ্গাইল অফিসে কর্মরত থাকার পরেও কেন উলিপুর অফিসে আছে এ প্রশ্ন ও শাহিন আলম সৃষ্টি করেন ?
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ১০০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে প্রশিকা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন প্রশিকার মালিক পরিচালক কাজী ফারুক। ১০০ কোটি টাকা গন্ডগোলের ঘটনায় প্রশিকার কার্যক্রম গতিশীল অবস্থায় গতিহীন হয়ে পড়ে। এখান থেকেই প্রশিকার দুরবস্থার শুরু হয়।
২০২৫ ইং ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি অবস্থায় উলিপুর প্রশিকা অফিস কার্যক্রম শুরু হওয়ায় স্থানীয় গণমানুষ, সুধী সমাজ, বিজ্ঞজন এবং সংশ্লিষ্ট অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন। প্রশিকা উলিপুর এর কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথায় উপজেলা উলিপুরে হাজারো জনগণ আনন্দে ভাসছে বলে অনেকে জানিয়েছেন। গত সাত দিন থেকে প্রশিকা অফিস উলিপুরে ভবন সংস্কারের কাজ চলছে। অফিসের মৃত গাছ কেটে অফিসের জানালা - দরজার সংস্কার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বলে সরেজমিন তদন্তে জানা গেছে।
গোপন সূত্রে জানা গেছে, অফিস চালু হওয়ার পর থেকে গতিশীল অবস্থায় গোটা উপজেলায় এক থেকে দুই কোটি কখনো কখনো আড়াই কোটি টাকার মতো ঋণ দেওয়া হতো বলে একটি বিশেষ সূত্রে জানিয়েছে। হাজারো গ্রামো গঞ্জে এখনো প্রতিকার শত শত কমিটি রয়েছে বলেও শাহিন আলম চিশতী জানিয়েছে।
অসংখ্য মুখনিঃসৃত বাণী থেকে জানা যাচ্ছে উপজেলা উলিপুরে প্রশিকা কার্যক্রম পুনরায় চালু হলে হাজারো হত - দরিদ্র মানুষ ভিন্ন ভিন্ন কর্মকাণ্ডে ফিরে আসবে এবং নিজের জীবন পদ্ধতি আবারো বদলিয়ে দিতে শুরু করবে এতে কোন সন্দেহ নেই। পুনরায় " প্রশিকা " গরীবের উন্নয়নের দ্বার হিসেবে বিবেচিত হোক , এটাই উলিপুরের হত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর একান্ত কাম্য