তথ্যানুসন্ধান ডেস্ক: (প্রকাশের তারিখ: 08-Feb-2025)
রিশাল উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে প্রকাশ্যেই চলছে জুয়া।এভাবে প্রকাশ্যে জুয়া খেলা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় লোক জন প্রতিবাদ করেও কোন ফল পাচ্ছেনা।নিঃস্ব হচ্ছে এলাকার শত শত মানুষ,ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ।
ত্রিশাল সদর ইউনিয়নের সতেরপাড়া প্রান কোম্পানীর পিছনে বাচ্চু মিয়াও আনারুলের নেতৃত্বে চলছে বিশাল জুয়া খেলা।ত্রিশাল পৌর শহরের ৫নং ওয়ার্ডে উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ন আহবায়ক মন্টু ও ত্রিশাল পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক আমিরুলের নেতৃত্বে ত্রিশাল ভাটিপাড়া রিয়াজুল উলুম মাদ্রাসা সংলগ্ন কসাইবাড়ীর পাশে প্রকাশ্যে চলছে জুয়া খেলা। এছাড়াও ধানীখোলা ইউনিয়নের ডামের মোড় এর পশ্চিমে ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন মোফাজ্জল ও হাসিমের নেতৃত্বে দিবারাত্রি চলছে জুয়ার আসর, হরিরামপুর ইউনিয়নের মাগুরজোড়া হজুর মোড়ের পিছনে আরিফ কোম্পানী সংলগ্ন রশিদ ও নজরুলের নেতৃত্বে চলছে জুয়ার আসর।
ত্রিশাল পৌর ছাত্রদলের আহয়বাক আমিরুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আমি জুয়া খেলার সাথে জড়িত নই।তবে এসব বিষয়ে মোবাইলে কথা বলা যাবেনা।আপনি আমার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করেন।
উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ন আহবায়ক মন্টু মিয়া জানান ত্রিশালের আনাছে কানাছে জুয়া খেলা চলছে। ওসি সাহেব সব বোর্ড বন্ধ করে দিলে আমরাও বোর্ড বন্ধ করে দিবো।
বাচ্চু মিয়া জানান,জুয়া খেলা আমার ছোট থেকেই নেশা,জুয়া খেলা ছাড়া আমি থাকতে পারিনা।এ কথা সকলেই জানে।
সূত্র জানায়,জুয়া খেলার জন্য পুলিশ আকরামের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার কে আকরাম অকথ্য ভাষায় মোবাইল ফোনে গালাগালি করে,প্রকাশ্যে রাগামারা বাজারে স্থানীয় চৌকিদার বাবুলকে লাঞ্চিত করে।
এ ব্যাপারে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মনসুর আহমেদ জানান,জুয়ার ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। জুয়ার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত আছে।